ঢাকা ০১:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ক্যানসার প্রতিরোধে ৮ মশলা খাবেন

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৫:৪০:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ জানুয়ারী ২০১৮
  • ৩১৮ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ক্যান্সার হলো এমন একটি রোগ যার ফলে দেহের কোনো কোষের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি ঘটে। পরে তা দেহের অন্যান্য অংশেও আক্রমণ করতে পারে। আজকাল বয়স্ক, যুবক, শিশু কেউই রক্ষা পাচ্ছে না এ রোগ থেকে। ক্যানসার থেকে বাঁচতে সারা বিশ্বের গবেষক-বিজ্ঞানীরা ওঠেপড়ে লেগেছেন। তবে এ রোগ নিরাময়ের চেয়ে প্রতিরোধের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছেন সবাই। গবেষকরা বলছেন, ক্যান্সার প্রতিরোধ সম্ভব কিছু মসলার মাধ্যমেও। এগুলো নিয়মিত খাওয়ার অভ্যাস করলে ক্যানসার রোগ হওয়ার আশঙ্কা থাকে না।

আদা

আদা হলো ভেষজ ওষুধ। আদা আমাদের দেহের কোলেস্টরলের মাত্রা কমায়, হজমে সহায়তা করে এবং ক্যান্সারের কোষ ধ্বংস করতে সহায়তা করে। পাকস্থলি ক্যানসারে আদা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ভেষজ ওষুধ। রান্নায় আদার ব্যবহার বাড়িয়ে পরিবারকে রাখুন ক্যান্সারমুক্ত। এ ছাড়া কাঁচা আদা চিবোলেও কাজে দেয় বলে মত দিয়েছেন গবেষকরা।

রসুন

রসুনে প্রচুর পরিমাণে সালফার থাকে। এ ছাড়া থাকে আরজিনি, সেলিনিয়াম। এগুলো স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত উপকারী। রসুন থেতো করে বা কুচি কুচি করে খেলে খুব উপকার পাওয়া যায়। পাকস্থলি ক্যানসার প্রতিরোধে একদম উপযুক্ত এই রসুন। এ ছাড়া কোলন, ব্রেস্ট, খাদ্যনালী ও অগ্ন্যাশয় ক্যানসার সারাতেও রসুন খুব কাজে দেয়। রক্তপ্রবাহের গতি-প্রকৃতির সামঞ্জস্য রাখতে ও ইমিউনি সিস্টেম ঠিক রাখতে রসুনের ব্যবহার অনস্বীকার্য।

হলুদ

হলুদে রয়েছে পলিফেনল কারকিউমিন যা মূত্রনালির ক্যান্সার, মেলানোমা, স্তন ক্যান্সার, ব্রেইন টিউমার, প্যানক্রিয়েট ক্যান্সার ও লিউকোমিয়া প্রতিরোধে বিশেষভাবে কার্যকর। হলুদের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমিটরি উপাদান ক্যানসার রোগকে প্রতিরোধ করে।

কাঁচা লঙ্কা

কাঁচা লঙ্কার মধ্যে ক্যাপসেইচিন থাকে, তাতে ব্যথার আরাম হয়। চামড়ার ওপর লাগালে তা কেমিক্যালের মতো কাজ করে যা সাবস্টেনস-পি নাম দেয়া হয়েছে। ক্যানসারের সার্জারির পর নিউরোপ্যাথেটিক পেইনের জন্য ক্যাপসেইচিন ক্রিম ব্যবহার করা হয়।

জিরা

ফোটো নিউট্রিয়েন্টস ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর জিরা দেহে ক্যান্সারের কোষ বৃদ্ধি প্রতিরোধে সহায়তা করে। এটি ক্যান্সার বৃদ্ধিকারী এনজাইমগুলোকে প্রতিহত করে থাকে।

জাফরান

যদিও এটি বিশ্বের সবচেয়ে দামি মসলাগুলোর মধ্যে একটি, কিন্তু খুবই সামান্য পরিমাণে এই জাফরানের ব্যবহার আপনার দেহকে রাখবে ক্যান্সারের ঝুঁকিমুক্ত।

দারুচিনি

প্রতিদিন মাত্র আধা চা চামচ দারুচিনি গুঁড়ো খাওয়ার অভ্যাস আপনাকে ক্যান্সারের ঝুঁকিমুক্ত রাখবে সারাজীবন। আয়রন, ক্যালসিয়ামে ভরপুর এই মসলাটি দেহে টিউমার বৃদ্ধি প্রতিরোধ করে এবং ক্যান্সার দূরে রাখে।

পুদিনা পাতা

আদিকাল থেকেই পুদিনাপাতা গ্যাস, পেটের সমস্যা, বদহজম প্রভৃতি রোগের কার‌্যকর ওষুধ। ফুড পয়জনিংয়ের জন্যও পুদিনাপাতা ব্যবহার করা হয়। পাকস্থলি ক্যানসারের রোগীরা চেষ্টা করবেন প্রতিদিন পুদিনা পাতার চা খেতে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

ক্যানসার প্রতিরোধে ৮ মশলা খাবেন

আপডেট টাইম : ০৫:৪০:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ জানুয়ারী ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ক্যান্সার হলো এমন একটি রোগ যার ফলে দেহের কোনো কোষের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি ঘটে। পরে তা দেহের অন্যান্য অংশেও আক্রমণ করতে পারে। আজকাল বয়স্ক, যুবক, শিশু কেউই রক্ষা পাচ্ছে না এ রোগ থেকে। ক্যানসার থেকে বাঁচতে সারা বিশ্বের গবেষক-বিজ্ঞানীরা ওঠেপড়ে লেগেছেন। তবে এ রোগ নিরাময়ের চেয়ে প্রতিরোধের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছেন সবাই। গবেষকরা বলছেন, ক্যান্সার প্রতিরোধ সম্ভব কিছু মসলার মাধ্যমেও। এগুলো নিয়মিত খাওয়ার অভ্যাস করলে ক্যানসার রোগ হওয়ার আশঙ্কা থাকে না।

আদা

আদা হলো ভেষজ ওষুধ। আদা আমাদের দেহের কোলেস্টরলের মাত্রা কমায়, হজমে সহায়তা করে এবং ক্যান্সারের কোষ ধ্বংস করতে সহায়তা করে। পাকস্থলি ক্যানসারে আদা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ভেষজ ওষুধ। রান্নায় আদার ব্যবহার বাড়িয়ে পরিবারকে রাখুন ক্যান্সারমুক্ত। এ ছাড়া কাঁচা আদা চিবোলেও কাজে দেয় বলে মত দিয়েছেন গবেষকরা।

রসুন

রসুনে প্রচুর পরিমাণে সালফার থাকে। এ ছাড়া থাকে আরজিনি, সেলিনিয়াম। এগুলো স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত উপকারী। রসুন থেতো করে বা কুচি কুচি করে খেলে খুব উপকার পাওয়া যায়। পাকস্থলি ক্যানসার প্রতিরোধে একদম উপযুক্ত এই রসুন। এ ছাড়া কোলন, ব্রেস্ট, খাদ্যনালী ও অগ্ন্যাশয় ক্যানসার সারাতেও রসুন খুব কাজে দেয়। রক্তপ্রবাহের গতি-প্রকৃতির সামঞ্জস্য রাখতে ও ইমিউনি সিস্টেম ঠিক রাখতে রসুনের ব্যবহার অনস্বীকার্য।

হলুদ

হলুদে রয়েছে পলিফেনল কারকিউমিন যা মূত্রনালির ক্যান্সার, মেলানোমা, স্তন ক্যান্সার, ব্রেইন টিউমার, প্যানক্রিয়েট ক্যান্সার ও লিউকোমিয়া প্রতিরোধে বিশেষভাবে কার্যকর। হলুদের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমিটরি উপাদান ক্যানসার রোগকে প্রতিরোধ করে।

কাঁচা লঙ্কা

কাঁচা লঙ্কার মধ্যে ক্যাপসেইচিন থাকে, তাতে ব্যথার আরাম হয়। চামড়ার ওপর লাগালে তা কেমিক্যালের মতো কাজ করে যা সাবস্টেনস-পি নাম দেয়া হয়েছে। ক্যানসারের সার্জারির পর নিউরোপ্যাথেটিক পেইনের জন্য ক্যাপসেইচিন ক্রিম ব্যবহার করা হয়।

জিরা

ফোটো নিউট্রিয়েন্টস ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর জিরা দেহে ক্যান্সারের কোষ বৃদ্ধি প্রতিরোধে সহায়তা করে। এটি ক্যান্সার বৃদ্ধিকারী এনজাইমগুলোকে প্রতিহত করে থাকে।

জাফরান

যদিও এটি বিশ্বের সবচেয়ে দামি মসলাগুলোর মধ্যে একটি, কিন্তু খুবই সামান্য পরিমাণে এই জাফরানের ব্যবহার আপনার দেহকে রাখবে ক্যান্সারের ঝুঁকিমুক্ত।

দারুচিনি

প্রতিদিন মাত্র আধা চা চামচ দারুচিনি গুঁড়ো খাওয়ার অভ্যাস আপনাকে ক্যান্সারের ঝুঁকিমুক্ত রাখবে সারাজীবন। আয়রন, ক্যালসিয়ামে ভরপুর এই মসলাটি দেহে টিউমার বৃদ্ধি প্রতিরোধ করে এবং ক্যান্সার দূরে রাখে।

পুদিনা পাতা

আদিকাল থেকেই পুদিনাপাতা গ্যাস, পেটের সমস্যা, বদহজম প্রভৃতি রোগের কার‌্যকর ওষুধ। ফুড পয়জনিংয়ের জন্যও পুদিনাপাতা ব্যবহার করা হয়। পাকস্থলি ক্যানসারের রোগীরা চেষ্টা করবেন প্রতিদিন পুদিনা পাতার চা খেতে।